বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোতে নজরদারি করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে আগের বছরের তুলনা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় গুজব ও সাইবার প্রতারণার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
রোববার (১৮ মে) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা (১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে) উপলক্ষে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব, মিথ্যা তথ্য এবং আর্থিক প্রতারণা রোধে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে সিপিসির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখা প্রযুক্তি নির্ভর, দক্ষ ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে এই অপচেষ্টা প্রতিহত করেছে।
সিআইডি বলছে, পরীক্ষার আগেই বিভিন্ন অপরাধী চক্র ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াতে শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা এবং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে সিপিসি গুজব ও প্রতারণা রোধে মনিটরিং জোরদার করে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় সিপিসি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নজরদারি করে। ফলস্বরূপ ১৭টি ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহকারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ, টিকটক অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করে বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বর, আইপি অ্যাড্রেস ও অন্যান্য ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাইবার সিকিউরিটি আইন, ২০২৩-এর ৮ ধারা অনুসারে এসব প্রতারণামূলক কনটেন্ট সরাতে উচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে কনটেন্ট টেকডাউন রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে বিভ্রান্তিকর কনটেন্টগুলো অপসারিত হয় এবং ভবিষ্যতে এমন প্রচারণা বন্ধে প্রতিরোধমূলক শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে যায়। এই উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর গুজব ও সাইবার প্রতারণার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর ফলে পরীক্ষার্থীরা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পেরেছে এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবক মহলে আস্থা ফিরে এসেছে। এরইমধ্যে সিপিসির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে কেউ ভুয়া অফার বা গুজবে প্ররোচিত না হয়।
সন্দেহজনক কোনো তথ্য বা কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে নিচের যোগাযোগ মাধ্যমে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সিআইডির পক্ষ থেকে।
সিপিসি হেল্পলাইন: ০১৩২০০১০১৪৬ -https://www.facebook.com/cpccidbdpolice
ই-মেইল: cyber@police.gov.bd